
আপনি যদি অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে You tube হল আপনার জন্য বেস্ট প্লাটফর্ম, কারণ আপনি এখানে সম্পূর্ণ ফ্রিতে কাজ করতে পারবেন এবং পাঁচ থেকে ছয় রকম ভাবে ইনকাম করতে পারবেন সবথেকে মজার বিষয় হল ইউটিউব হল প্যাসিভ ইনকামের platform এবার এই প্যাসিভ ইনকাম কি সেটা এবার আমরা একটু জানবো l
Passive ইনকাম হল এমন একটি ইনকাম, আপনি একবারই কাজ করবেন কিন্তু ইনকাম পাবেন লাইফ টাইম l ইউটিউব থেকে আপনি এই রকম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। এবার আমি আপনাদেরকে জানাবো কিভাবে আপনি ইনকাম করবেন l
You tube Monetization
প্রথমত You Tube মনিটাইজেশন আপনি ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা শুরু করেছেন এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেল যখন ১০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম কমপ্লিট করবে লাস্ট ৩৬৫ দিনের মধ্যে তখন আপনি You tube থেকে মনিটাইজেশন পাবেন, মনিটাইজেশন মানে হল আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করতে পারবেন, এই ইনকাম করার জন্য আপনাকে একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট OPEN করতে হবে। Google অ্যাডসেন্স আপনার চ্যানেলের ভিডিওতে এড দেবে। সেই অ্যাডগুলো যখন আপনার সাবস্ক্রাইবার রা অথবা ভিউয়ার্সরা দেখবে তখন সেটা থেকে আপনি ইনকাম পাবেন l
এবং এই ইনকামের কিছু অংশ ইউটিউব নিজে রেখে দেবে বাকিটা আপনাকে দেবে। You tube থেকে ইনকামের প্রথম পদক্ষেপ হলো এই মনিটাইজেশন। এই ইনকামটা বিভিন্ন কনটেন্ট এর উপর ভিত্তি করে বেশি কম হয়ে থাকে যে সব কন্টেন্ট ফাইন্যান্স, অনলাইন ইনকাম, ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর ভিত্তি করে বানানো হয় সেগুলো থেকে ইনকাম সাধারণত বেশি থাকে

ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশ এই ইনকামের পরিমাণটা একটু কম। এটা যদি বাইরের অন্য কোন country যেমন আমেরিকা ইংল্যান্ড এইসব দেশ থেকে কেউ যদি আপনার ভিডিও দেখে তাহলে আপনার ইনকামটা বেশি হবে।
Affiliate Marketing
দ্বিতীয়ত হল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং l প্রথমে আমরা একটু জানব অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? এফিলিয়েড মার্কেটিং হল কোন একটা কোম্পানির কোন একটা প্রোডাক্ট আপনি সেল করলে সেই কোম্পানি আপনাকে কিছু কমিশন দেবে। সেটাকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং l যেমন ধরুন amazon থেকে কোন প্রোডাক্ট এমাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি কাউকে লিংক পাঠিয়ে দেন সেই ব্যক্তি যখন ওই লিংকে ক্লিক করে সেই জিনিসটা amazon থেকে কিনবে তারপরে অ্যামাজন আপনাকে কিছু পারসেন্ট কমিশন দেবে।
সেটা ২% থেকে টেন পার্সেন্ট পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি ক্লিক ব্যাংক, ডিজি স্টোর 24 এ ছাড়া বড় বড় এফিলিয়েট মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যোগ দেন এবং তাদের পণ্য সেল করেন তাহলে সেখান থেকে আপনি ৭৫% পর্যন্ত কমিশন পাবেন। এইভাবে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
Sponsorship
তৃতীয়ত হল স্পনসর শিপ, আপনার চ্যানেলের ভিউস এবং সাবস্ক্রাইবার এর ওপর নির্ভর করে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইট অথবা এপ্লিকেশন প্রমোশনের অফার দেবে এবং আপনি আপনার ভিডিওর মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ সেকেন্ড তাদের সেই প্রোডাক্টের অথবা সার্ভিসের ভিডিও বানাবেন। এবং এর জন্য সেই কোম্পানি আপনাকে ভালো পরিমাণ টাকা দেবে। এবং এই টাকা এডসেন্স থেকে পাঁচ থেকে দশ গুণ বেশি হতে পারে এছাড়া আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কোলাবারেশন করে ভালো আর্নিং করতে পারবে

Won service selling
চতুর্থ আপনার নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস আপনি You tube এর মাধ্যমে সেল করতে পারেন। যেমন ধরুন আপনার কোন ই-বুক রয়েছে অথবা কোর্স রয়েছে সেগুলো আপনি You tube এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়া ভিডিও এডিটিং কোর্স অনলাইনে ইনকাম কোর্স বিভিন্ন ধরনের কোর্স বিক্রি করতে পারেন l
Membership and super chat
পাঁচ নম্বরে আপনি ইউটিউব মেম্বারশিপ নিয়ে কাজ করতে পারেন। যেমন ধরুন আপনার চ্যানেলে টোটাল ১০ হাজার সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। আপনি আপনার ভিডিওতে জানিয়ে রাখবেন যে আপনি মেম্বারশিপ ওপেন করেছেন যারা আপনার রেগুলার ভিউয়ার্স তারা আপনার সঙ্গে মিট করার জন্য বা আপনার সম্পর্কে আরো অনেক কিছু জানার জন্য মেম্বারশিপ নেবে l
এই মেম্বারশিপ থেকে ভালো আর্নিং হয়ে থাকে এছাড়া আপনি আপনার চ্যানেলে লাইভ করলে সেখানে সুপার চ্যাট অপশন থাকে এবং কোন ফ্রেন্ড বা কোন ভিউয়ার্স তারা যদি আপনার লাইভ পছন্দ করে তাহলে আপনাকে সুপার চ্যাট পাঠাবে এবং আপনি সুপার চ্যাটের মাধ্যমে ও আর্নিং করতে পারবেন l
আপনাদেরকে আমি এই টোটাল পাঁচটি উপায় বলে দিলাম আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেল ওপেন করেন তাহলে এই পাঁচটি ভাবে ইনকাম করতে পারবেন এছাড়াও ইউটিউব থেকে আরো অনেক উপায় আছে ইনকাম করার সেগুলো যদি আপনি জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে দেবেন l